বন্ধ হলো মুখ‍্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প " মিষ্টি হাব " : অনাময় হাসপাতালকে দিয়ে দেওয়া হবে হাবের জায়গা

22nd June 2020 10:55 am বর্ধমান
বন্ধ হলো মুখ‍্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প


বাবু সিদ্ধান্ত ( বর্ধমান ) :  বহু প্রচেষ্টা চালিয়েও মন কাড়া যায়নি ক্রেতা মহলের । তাই শেষ পর্যন্ত বন্ধই হয়েগেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  স্বপ্নের প্রকল্প বর্ধমানের মিষ্টিহাব ।জলে গেল কোটি কোটি টাকা।মানরাখতে প্রশাসন এখন  চাইছে মিষ্টিহাবের গোটা বিল্ডিং সহ জায়গা আনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে হস্তান্তর করে দিয়ে ফের শক্তিগড়ে নতুনকরে মিষ্টি হাব গড়ে তুলতে । 

বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বামচাঁদাইপুরে গোড়ে তোলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মিষ্টিহাব ।  ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল আসানশোলে বর্ধমান জেলা ভাগের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিষ্টি হাবের উদ্বোধন করেন । তখন  বলা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রসিদ্ধ মিষ্টি  ছাড়াও রাজ্যের অন্যান জেলার প্রসিদ্ধ মিষ্টি মিলবে বর্ধমানের মিষ্টিাবে । কিন্তু উদ্বোধনের কিছুদিন পরেই বর্ধমানের বামচাঁদাইপুরের মিষ্টিহাব কার্যত  মুখ থুবড়ে পড়ে ।এরপর থেকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও জেলা  প্রশাসনের কর্তারা  মিষ্টিহাব সচল করার জন্য নানাভাবে প্রচেষ্টা চালানো শুরু করেন ।  মিষ্টিহাবের সামনে যাতে বিভিন্ন রুটের সরকারি বাস দাঁড়ায় তার ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনের কর্তারা রাজ্যের পরিবহন দফতরে চিঠি চাপাঠিও করেছিলেন । বছরে পর বছর প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক আলোচনা অনেক কিছুই হয়েছে ।  মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ পরামর্শ দিয়েছিলেন মিষ্টিহাবে মিষ্টি ছাড়াও  পিৎজা-সহ অন্যান্য খাবারের স্টল রাখার।মিষ্টি হাবে উৎপাদিত মিষ্টির গুণগত মান পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার কথাও বলা হয়। গত বছর জানুয়ারি মাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ধমানের মিষ্টি হাবে সপ্তাহ খানেক ধরে মিষ্টি উৎসবেরও আয়োজন করা হয়েছিল । কিন্তু এত কিছুর পরেও ক্রেতা মহলে আকর্ষণ তৈরি না হওয়া সব চেষ্টাই বিফলে যায় । মিষ্টিহাব আর চাঙ্গা করা যায়নি । 

 
জেলাশাসক বিজয় ভারতি বলেন , বর্ধমানের বামচাঁদাইপুরের মিষ্টিহাব সচল করার জন্য 
নানা ভাবে চেষ্টা করা হয়েছিল । কিন্তু কিছু কাজ হলনা । তই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শক্তিগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের দুপাশে  যেখানে সারি দিয়ে ল্যাংচার দোকান রয়েছে সেখানের জায়গায়  নতুনকরে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মিষ্টিহাব গড়ে তোলা হবে । কোটি কোটি টাকা খরচ  করে বামচাঁদাইপুরের তৈরি হওয়া মিষ্টিহাবটির তাহলে কি হবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে জেলাশাসক জানান , মিষ্টি হাবের কাছেই রয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি বিভাগ অনাময় হাসপাতাল ।গোটা বিল্ডিং সহ মিষ্টি হাবের জায়গা অনাময় হাসপাতালকে দিয়ে দেওয়া হবে । তবে মিষ্টিহাবের দোকানঘর  অনাময় হাসপাতাল কি কাজে লাগাতে পারবে  সেই বিষয়ে জেলাশাসকও কিছু জানাতে পারেননি । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।